আবগারি শুল্ক
আবগারি শুল্ক এক প্রকার পরোক্ষ কর যা দেশজ উৎপাদনের ওপর আদায় করা হয়ে থাকে। শুরু থেকে দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য কারখানা থেকে খালাসের সময় এই শুল্ক আদায় করা হতো। বাংলাদেশে আবগারি ও লবণ আইন ১৯৪৪-এর আওতায় আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদে বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপণীয় আবগারি শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে আদায়যোগ্য শুল্কহার নিরূপণ করে।[১]
বাংলাদেশে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে অধিকাংশ পণ্যের ওপর আবগারি শুল্ক রহিত করে মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হয়। পরবর্তী ২০ বছরে প্রায় সকল পণ্য ও কৃত্যের দেশজ উৎপাদন ও সরবরাহে আবগারি শুল্পের আওতা থেকে বের করে মূল্য সংযোজন করের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
২০২৪ সালে কেবল দুটি সেবা বা সার্ভিস যথা: ‘ব্যাংক ডিপোজিট’ ও ‘বিমান টিকেটে’র উপর আবগারি শুল্ক আরোপিত আছে। তবে ২০১৭ হজ্বযাত্রীদের বিমানের টিকিটের ওপর আরোপযোগ্য আবগারি শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। ২০২১ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিমান টিকেটের উপর আবগারি শুল্ক হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীদের সঞ্চয়ের ওপর আরোপণীয় আবগারি শুল্ক মার্জ্জনা করা হয়েছে। একই বছরে, মাত্র দশ টাকার জমা করে কৃষকদের খোলা ব্যাংক একাউন্টের জমার ওপর আবগারি শুল্ক রহিত করা হয়। [২] [৩]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আবগারি শুল্ক
- ↑ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে
- ↑ মোঃ আব্দুর রউফ: নতুন ভ্যাট আইন ২০২৩, লিটন পাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০২৩।